২০০৫ সালের ১৭ আগস্টে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। ১৮ বছরেও বিচার শেষ হয়নি ওই ঘটনায় করা ৪১ মামলার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষী হাজিরে অনীহা, বারবার ঠিকানা বদলসহ নানা জটিলতায় এই ধীরগতি। আর অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেএমবি সংগঠিত হয় ১৯৯৮ সালে। ২০০৫ সালে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে ৬৩ জেলায় একযোগে চালানো বোমা হামলায় নিহত হন দুজন, আহত হন শতাধিক।
সেই ঘটনায় ১৫৯ মামলার ১১৮টির বিচার শেষ হয়েছে, রায়ে ১৯৩ আসামিকে নানা মেয়াদে সাজা, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে ১৫ জনকে। তবে এখন আটকে আছে ৪১টি মামলার বিচার। ঢাকার আদালতে চলা ৩ মামলার বিচার শেষ হয়নি ১৮ বছরে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, বিচারকাজ শেষ না হাওয়ায় তাঁদের কোন গাফিলতি নেই। ঠিক মতো সাক্ষী হাজির না হওয়াতেই ঝুলে আছে বিচারকাজ।
এ প্রশ্নে উচ্চ আদালতে আপিলের প্রসঙ্গও সামনে আনছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর আটকে থাকা মামলা নিয়ে তিনি বলেন, মামলাগুলোর গুরুত্ব বুঝে দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। সাক্ষীদের না পাওয়ায় কিছু মামলার বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি।
শুধু আগস্ট নয়, একই বছর নভেম্বরেও দুই বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়েকে হত্যা করে জেএমবি। এতে শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাইসহ ৮ জঙ্গিকে দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।